২৪খবরবিডি: 'ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ২০টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। ডিবির তেজগাঁও বিভাগ জাকিরের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই গাড়িগুলো জব্দ করেছে। শনিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।'
'তিনি বলেন , গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মুগদা থানায় একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয়। মামলাটি গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ ছায়াতদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে জানা যায়, জাকির চেয়ারম্যান পোর্ট থেকে স্বল্প দামে গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেয়। পরে এসব গাড়ি রেন্ট-এ কারের মাধ্যমে মাসিক ভাড়ায় পরিচালনা করার জন্য চুক্তি করে। তিনি একই গাড়ির বিপরীতে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে চুক্তি করে। একই রেজিস্ট্রিশন নম্বর সম্বলিত গাড়ি একাধিক ব্যক্তির কাছে জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রয় করতেন। তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুধু ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর দিয়ে গাড়ি বিক্রির চুক্তিপত্র সই করেন। গাড়িটি নিজেই ভাড়া নিয়ে মাসিক ভাড়া পরিশোধের ভিত্তিতে পরিচালনা করার কথা বলে কিছুদিন ভাড়া পরিশোধ করে। পরে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয় ও গাড়ি কেনার অর্থ আত্মসাৎ করেন। তিনি আরও বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিম। এ সময় তার কাছ থেকে ২টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। পরে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও আত্মসাৎকৃত ২০টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবি প্রধান বলেন, কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানাধীন ২ নম্বর মানিকাচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির প্রতারণার মাধ্যমে ৬০-৭০টি গাড়ি দেখিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবী প্রায় ৭০০ জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। যাদের মধ্যে ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারের এমপি রয়েছেন। একটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখিয়ে ৩৭ জনের নিকট স্ট্যাম্প করে বিক্রি করেছেন।'
'তিনি আরও বলেন, জাকির ৫ থেকে ৬ জনের সহযোগীর সহায়তায় প্রতারণা করতো। তিনি আনুমানিক হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। মুন্সীগঞ্জ, বিক্রমপুরে লোকদের কাছে ১২২টি গাড়ি বিক্রির কথা বলে প্রতারণা করেছেন। জাকির হোসেন তার প্রতিষ্ঠান আর.কে. মটরসের নামে এবং তার আত্মীয় স্বজনের নামে ২৭টি
গ্রেপ্তার হওয়া চেয়ারম্যান জাকিরের ২০ গাড়ি জব্দ করেছে ডিবি
ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। তার নামে বিভিন্ন থানায় ১২টি প্রতারণার মামলাও রয়েছে। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অধিক মুনাফার আশায় লোভ করে এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পা না দিতে সাধারণ মানুষকে নিষেধ করেন ডিবি প্রধান। একই সঙ্গে গাড়ি বা জমি কেনার পূর্বে কাগজপত্র ভালোভাবে যাচাই করার অনুরোধ করেন তিনি।'